আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং বেলজিয়াম কাজের বেতন কত? সে বিষয়ে জানতে আগ্রহী থাকেন।
তাহলে, আমাদের আজকের এই আলোচনাতে, বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
আমরা আশা করি আমাদের দেওয়া পোস্ট শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করলে। আপনারা বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবেন।
![বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং বেলজিয়াম কাজের বেতন কত ?](https://jit.com.bd/wp-content/uploads/2023/03/belgium-work-permit-visa.jpg)
বর্তমান সময়ে বেলজিয়ামের বিভিন্ন দেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে লোকেরা পারে জমাচ্ছে।
বর্তমানে বেলজিয়াম কাজের চাহিদা দিন দিন অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখানে কাজ করতে হলে, তেমন কোন কঠিন রিকোয়ারমেন্ট নেই।
তাই অন্যান্য দেশের তুলনায় বেলজিয়াম এখন অনেকভাবে লোক নিয়োগ দিচ্ছে, বিভিন্ন কোম্পানিতে।
- মালয়েশিয়া কলিং ভিসা ২০২৩ (জেনেনিন এখানে)
- কানাডা জব ভিসা খরচ ২০২৩ (বিস্তারিত)
- ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট কারা পাবেন এবং কারা পাবেন না ? (জেনেনিন এখানে)
তাই এ সকল কোম্পানিতে কাজ করতে চাইলে। আপনাদেরকে সঠিক উপায়ে, বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসার সংগ্রহ করতে হবে।
আর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে, আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
বর্তমান সময়ে বেলজিয়াম সরকার বিশেষ ক্যাটাগরিতে লোক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তারা প্রবাসী শ্রমিকদের নেওয়ার জন্য জানিয়েছেন।
এশিয়া মহাদেশ থেকে প্রায় কয়েক হাজার লোক নেবেন এবং অন্যান্য দেশ থেকে 10 হাজারের মতো মানুষ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন।
তো বেলজিয়ামে গিয়ে আপনারা যে সকল কাজ করতে পারবেন।
সেগুলো হচ্ছে-
- ড্রাইভিং
- হোটেল কর্মী
- গার্মেন্টস কর্মী
- কৃষি শ্রমিক
ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে, আপনারা বেলজিয়ামকে উপার্জন করতে পারবেন। এই কাজগুলোর বিনিময়ে, শ্রমিকদের বেতন ধরা হয়েছে ৭০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
তো আপনারা এই সকল ভিসাতে যাওয়ার জন্য এমন কোন কঠিন ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে না। কিন্তু অবশ্যই তিন মাসের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কাজের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
সে সার্টিফিকেট থাকলে আপনি বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য সহজেই আবেদন করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে অবশ্যই আবেদন পত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডিপার্টমেন্টগুলোর সাথে নিয়ে তারপর আবেদন করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমরা নিচে বিস্তারিত জানিয়েছি।
বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে ?
আপনি যদি বেলজিয়াম যাওয়ার খরচ কত টাকা সে বিষয়ে জানতে চান তাহলে আমি আপনাকে সংক্ষিপ্তভাবে জানাতে চাই, বেলজিয়াম যেতে আপনার প্রায় 750 ডলার।
এবং আনুষাঙ্গিক বিমান ভাড়া এবং হোটেল খরচ এর প্রয়োজনীয় আরো ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। সেগুলো পূরণ করতে খরচ হতে পারে, মোট 750 ডলারের মত।
এছাড়া, বেলজিয়াম যেতে হলে তাদের কিছু রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে। এবং কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিয়ে, তারপর বেলজিয়াম গমন করতে হবে।
বেলজিয়াম কাজের বেতন কত ?
আপনি যদি বেলজিয়ামে বিভিন্ন কাজের বেতন সম্পর্কে জানতে চান? তবে সঠিক একটি ওয়েবসাইটে চলে এসেছেন।
আমরা আপনাকে জানিয়েছে বেলজিয়ামের বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে।
তার মধ্যে আপনি যদি একজন ড্রাইভিং কমি হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনারা বেলজিয়ামে কাজের বিনিময়ে সর্বোচ্চ 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
আর এই উপার্জনের জন্য আপনাকে প্রতিদিন ৯ ঘণ্টা থেকে ১২ ঘণ্টা সময় দিয়ে কাজ করতে হবে।
আর আপনি বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি পার্টটাইম হিসেবে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন ভাল টাকা।
আর আপনি যদি হোটেল কর্মে বা রেস্টুরেন্টের কাজ করে, উপার্জন করতে চান? সেক্ষেত্রে কাজের বিনিময়ে বাংলাদেশি টাকায় 70000 টাকা থেকে শুরু করে প্রায় দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন।
কারণ বর্তমান সময়ে বেলজিয়ামে, হোটেল কর্মী এবং ড্রাইভিং কাজের চাহিদা সব থেকে বেশি।
আপনি যদি বেলজিয়াম যেতে আগ্রহী থাকেন। তবে অবশ্যই ড্রাইভিং বা হোটেল কর্মীর কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে তারপর গমন করবেন। এতে করে অনায়াসে আপনারা মাসে বাংলাদেশী টাকায় ২ লক্ষ টাকাও উপার্জন করতে পারবেন।
বেলজিয়াম যাওয়ার উপায় কি ?
বর্তমান সময়ে বেলজিয়ামে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের এম্বাসি’র মাধ্যমে খুব সহজে যাওয়া যায়। আর আপনি যদি বেলজিয়ামের উদ্দেশ্যে থেকে কাজ নিয়ে যেতে চান?
তবে আপনাকে বেলজিয়াম এম্বাসি ও বিভিন্ন ধরনের সরকারি ও বেসরকারি এম্বাসি আছে। সেগুলোর মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই যেতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে, বাংলাদেশ থেকে বেলজিয়াম এর অ্যাম্বাসী না থাকার কারণে। দিল্লির মাধ্যমে খুব সহজেই যাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনাকে মিনিমাম চার থেকে ৯ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে।
তাই আপনি যদি বাংলাদেশে নাগরিক হয়ে থাকেন এবং বেলজিয়াম যেতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই, দিল্লি থেকে বেলজিয়ামের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে।
বেলজিয়াম ভিসা পাওয়ার উপায়
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কোন ভালো দক্ষতা সম্পন্ন ডেভেলপমেন্ট করে তাদের জব ওয়েবসাইট গুলো থেকে ভিসার অফার নিতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসা পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে।
বেলজিয়াম এর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চাইলে আপনাদের কিছু প্রয়োজনীয় কিছু রিকোয়ারমেন্ট পূরণ করতে হবে।
তো আপনারা রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী অবশ্যই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে তা না হলে আপনি ভিসার জন্য অ্যাপ্রভাল পাবেন না।
আপনি যদি আইডি রিলেটেড কাজগুলো করে দক্ষতা অর্জন করেন। সেক্ষেত্রে বেলজিয়াম ভিসার জন্য খুব সহজেই নিজের দেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বেলজিয়াম যেতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনাকে প্রোগ্রামিং ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ারিং এ সকল বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
তারপর আপনারা বেলজিয়ামের জব ওয়েবসাইট হতে খুব সহজে আপনারা আবেদন করতে পারবেন।
আর আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরে। আপনাকে তারা ইমেইলের মাধ্যমে বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নেট চেক করবে পরবর্তী আপনার জন্য ভিসা তৈরি করে তারা ইনভাইটেশন লেটার পাঠিয়ে দিবে।
বেলজিয়ামে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চাইলে আপনাদের কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে। সেই প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী অবশ্যই আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
আর আপনি যদি সঠিকভাবে প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট গুলো পূরণ না করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভিসা অ্যাপ্রভাল পাবেন না।
তো চলুন জেনে নেয়া যাক। নিচে দেওয়া অংশ বেলজিয়াম ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো কি কি লাগবে।
সেগুলো হচ্ছে-
- পাসপোর্ট- ছয় মাস মেয়াদী
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- ইংলিশে বেসিক দক্ষতার সার্টিফিকেট
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- কোভিড-১৯ এর সনদ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে বা অন্যান্য দেশ থেকে বেলজিয়াম যেতে আগ্রহী। তাদের অবশ্যই উপরুক্ত রিকোয়ারমেন্ট গুলো পূরণ করতে হবে। তাহলে কিন্তু ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
শেষ কথা-
তো বন্ধুরা যারা বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান? তারা উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী রিকুয়ারমেন্ট পূরণ করে খুব সহজে যেতে পারবেন।
আর বেলজিয়াম কোন কাজের বেতন কত সে বিষয়ে আমরা আপনাকে জানানোর চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে বেলজিয়ামের সব থেকে কাজের চাহিদা বেশি ড্রাইভিং এবং হোটেল কর্মীদের।
তাই আপনারা এই ক্যাটাগরির কাজ নিজের দেশ থেকে দক্ষতা অর্জন করে তারপর বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করবেন।
তো বন্ধুরা আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আপনারা আরো অন্যান্য দেশের ভিসা সংক্রান্ত তথ্য পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।