পাঠক বন্ধুগণ জে.আই.টি পরিবারে আসার জন্য আপনাকে স্বাগতম । আজ আমরা কম্পিউটারের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত খুবই জনপ্রিয় একটি শব্দ অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব । আমরা যারা ইন্টারনেট ব্রাউজ করে থাকি তাদের অনেকেই অপারেটিং সিস্টেম শব্দটি শুনেছি । অনেকেরই হয়ত এই বিষয় সম্পর্কে প্রচুর ঙ্গান রয়েছে । কিন্তু আমরা যারা নতুন , তাদের নিশ্চয়ই অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে ধারনা থাকা প্রয়োজন । চলুন তাহলে আজ অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার চেষ্টা করি ।
অপারেটিং সিস্টেম কি ?
কম্পিউটার প্রোগ্রামের এক্সিকিউশনকে নিয়ন্ত্রণ করে যে সফটওয়্যার তাকেই অপারটিং সিস্টেম বলে । অর্থাৎ অপারেটিং সিস্টেম মূলত কম্পিউটারের মেশিনারিজ ভাষাকে আরো সহজতর ভাবে প্রোগ্রামের ইনপুট আউটপুট এক্সিকিউশনকে নিয়ন্ত্রন করে এবং যা সিডিউলিং , ডিভাগিং , ইনপুট আউটপুট কন্ট্রোল , একাউন্টিং , কম্পাইলেশন , স্টোরেজ আসাইনমেন্ট , ডেটা ম্যানেজমেন্ট এবং আনুশঙ্গিক কাজগুলো করাকেই বুঝায় । আরো সহজ করে বলতে গেলে – কোন সিস্টেম কে অপারেট করতে অন্য যে সিস্টেম ব্যবহার করা হয় তাই অপারেটিং সিস্টেম ।অপারেটিং সিস্টেমের কাজ হল হার্ডওয়ার এর সাথে একে অপরের যোগসূত্র তৈরী করা এবং এদের অপারেট করা ।
আরো পড়ুনঃ ওয়েবসাইট কি এবং ওয়েবসাইট খোলার নিয়ম ।
কয়েকটি অপারেটিং সিস্টেমের নাম
বর্তমান প্রতিযোগিতা মূলক বাজারে অনেকগুলো অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে । কিন্তু অপারেটিং সিস্টেম এর জগতে মাইক্রোসফট এর আধিপত্য চোখে পড়ার মতো । কেননা শুরুর দিক থেকেই মাইক্রোসফট তার আধিপ্ত্য ধরে রেখেছে । তাছাড়া যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মাইক্রোসফট যেভাবে তাদের আপডেট ভার্সন আমাদের সামনে তুলে ধরছে তা সত্যই বিস্মিত হওয়ার মতো । যদিও বর্তমান প্রজন্ম মাইক্রোসফট এর পাশাপাশি নতুন অপারেটিং সিস্টেমগুলো ব্যবহার করে যাচ্ছে , তার পরও মাইক্রোসফট তার জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র ও হারাই নাই । চলুন তাহলে কিছু অপারেটিং সিস্টেমের নাম জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি । নিম্নে কিছু অপারেটিং সিস্টেমের নাম দেওয়া হলঃ-
- উইন্ডজ অপারেটিং সিস্টেম ( Windows 98 , Windows xp , Vista , Windows 7 , Windows 8 , Windows 8.1 , Windows 10 )
- লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ( Linax os )
- এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টম ( Android os )
- ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম ( Mac os )
- হাইকু অপারেটিং সিস্টেম ( Haiku os )
- রিয়েক্ট ওএস অপারেটিং সিস্টেম ( React os )
- আরোস অপারেটিং সিস্টেম ( Aros os )
- ইনফার্নো অপারেটিং সিস্টেম ( Infarno os )
এগুলো ছাড়াও আরও বেশ কিছু অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে ।
অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ
দৈনন্দিন জীবনে বলা যায় যে কম্পিউটার একটি নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র । যা মানুষের কাজের নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্যা সমাধানের অন্যতম মাধ্যম হিসেবেও ধরা যেতে পারে । আর অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার যাকে কম্পিউটারের প্রাণ ও বলা যেতে পারে ।অপারেটিং সিস্টেম মূলত কম্পিউটারের মেশিনারিজ ভাষাকে আরো সহজতর ভাবে প্রোগ্রামের ইনপুট আউটপুট এক্সিকিউশনকে নিয়ন্ত্রন করে এবং যা সিডিউলিং , ডিভাগিং , ইনপুট আউটপুট কন্ট্রোল , একাউন্টিং , কম্পাইলেশন , স্টোরেজ আসাইনমেন্ট , ডেটা ম্যানেজমেন্ট এবং আনুশঙ্গিক কাজগুলো করাকেই বুঝায় । সহজ কথায় যদি বলতে হয় অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ কি , তাহলে এক কথায় বলা যেতে পারে – আমাদের দেয়া তথ্যগুলো কে ইনপুট করে প্রক্রিয়াধীন করে আউটপুট হিসেবে রিজাল্ট দিয়ে থাকা ।
অপারেটিং সিস্টেম এর প্রকার
গুরুত্বপূর্ণ অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে । যা হলোঃ-
- ব্যচ অপারেটিং সিস্টেম
- টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম
- ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম
- নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম
- রিয়াল টাওম অপারেটিং সিস্টেম
বন্ধুরা অপারেটিং সিস্টেমের পাঁচটি ভাগ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে কনটেন্ট টি অনেক বেশি দীর্ঘায়িত হয়ে যাবে দেখে আমি এই বিষয় নিয়ে অন্য একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব । নিশ্চয়ই আপনারা তা পড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন ।
পরিশেষে আমাদের পাঠক বন্ধুগণ , অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে আপনাদের কোনো মন্তব্য থাকলে নিশ্চয়ই তা কমেন্ট করে জানাবেন । আমি আমার যথাসাধ্য সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব ।
ধন্যবাদ সবাইকে ।