কেন ছাত্রদের টাকা প্রয়োজন?
স্কুল কিংবা কলেজ সকল স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের কিছু Extra Pocket Money এর প্রয়োজন হয়। এই অল্প টাকা দিয়েই সে তার নিত্য প্রয়োজনীয় ছোট খাটো সখ এবং প্রয়োজন মিটিয়ে নিতে পারে। তাছাড়াও স্বাভাবিকভাবে এখনকার জেনারেশনের ছাত্রদের Smartphone, Gaming consoles, Cool cloths ইত্যাদি লাগেই। এ গুলো তাদের চলার পথকে আর Smart এবং সুগম করে।
তাছাড়া অনেক গৃহিনী আছেন যাদের বাসায় বসে থাকা ছাড়া কোন কাজই থাকে না। তারা বেশীরভাগ সময় ব্যয় করে ফেইসবুকে বন্ধুদের সাথে চ্যাট করে। আপনি অযথা এই সময় ব্যয় না করে যদি নিজের কিছু প্রয়োজন মিঠাতে পারেন বা অল্প আয় করতে পারেন তাহলে দুষের কি? নিচে আমি অনলাইন হতে আয় করা সহজ কিছু কৌশল দেখাবো, যেখান থেকে আপনিও ইচ্ছা করলে কিছু পয়সা উপার্জন করে নিতে পারবেন।
অনলাইনে আয় ২০২০
আপনি ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করতে পারবেন কি না, সে বিষয়টি আমি শুরুতে ক্লিয়ার করে নিচ্ছি। কারণ অধিকাংশ লোকের কাছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না থাকার কারনে অনলাইনে কাজ করতে চায় না। তারা মনেকরে কম্পিউটার ছাড়া মোবাইল দিয়ে অনলাইন হতে আয় করার সম্ভব নয়। কিন্তু আপনি হয়ত জানেন না যে, কম্পিউটার ছাড়াও শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে ঘরে বসে অনলাইনে সহজে আয় করা যায়। আপনার নিকট যদি একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল থাকে তাহলে আপনি সেই স্মার্টফোন দিয়ে অনলাইন হতে মাসে কিছু টাকা আয় করে নিতে পারবেন।
অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায়
অনলাইন কাজ শুরু করার পূর্বে অনেকের মনে আরেকটি প্রশ্ন জাগে যে, আমি অনলাইনে আয় করার পর সেই টাকা কিভাবে হাতে পাব? অনলাইনে আয়ের টাকা কিভাবে হাতে পাবেন সেই বিষয় নিয়ে আপনাকে চিন্ত করতে হবে না। অনলাইনের যে কোন প্লাটফর্ম হতে আপনি টাকা ইনকাম করুন না কেন সেই টাকা আপনার হাতে পৌছতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।
আমরা আজ অনলাইনে আয়ের যে পদ্ধতিগুলো শেয়ার করব সেগুলো হতে আয়ের টাকা আপনি বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে নিতে পারবেন না। তবে কিছু কিছু উপায় আছে যেগুলো কন্টাকের মাধ্যমে ব্যাংকে না নিয়ে বিকাশ পেমেন্ট বা সরাসরি নিতে পারবেন। আসলে অনলাইনের আর্ন্তজাতিক কোন প্লাটফর্ম এখনো পর্যন্ত আয়ের টাকা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করছে না। সবগুলো ভালোমানের কোম্পানি তাদের নিকট হতে আয়ের টাকা ব্যাংক ও পেপাল এর মাধ্যমে পরিশোধ করে।
অনলাইনে ইনকাম ২০২০
আমার অনেক পরিচিত লোক রয়েছে যারা অনলাইন হতে প্রতি মাসে ভালোমানের টাকা ইনকাম করছে। আবার এমনো কিছু পরিচিত ব্যক্তি আছে যারা অনলাইনে ইনকাম করে তাদের পরিবারেরে ভরণ পোষণ সহ বিলাসিতার জীবন যাপন করছে। আমি নিজেও ২০১৫ সাল হতে অদ্যাবধি চাকরির পাশাপাশি প্রতি মাসে কিছু টাকা অনলাইনে ইনকাম করে যাচ্ছি। আশাকরি আপনার সকলের আন্তরিকতা ও ভালবাসা পেলে ভবিষ্যতে অনলাইনে ইনকামের পরিমানটা আরো বৃদ্ধি করতে পারব।
অনলাইন ইনকাম সাইট ২০২০
এখন আমরা আপনাদের সাথে অনলাইনে আয় করার কয়েকটি নিশ্চিত উপায় শেয়ার করার পাশাপাশি কয়েকটি জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম সাইট শেয়ার করব। আশাকরি আপনি ধৈর্য্যধারণ করে ২/৪ মাস কাজ করলে আপনিও মাসে মাসে অনলাইনে টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। অনলাইনে কাজ শুরুর দিকে আপনার কাছে বিষয়টি কঠিন মনে হবে। কিন্তু ধিরে ধিরে আপনার কাছে সহজে হয়ে উঠবে। আপনি একটি জিনিস মনে রাখবেন, কেউ একদিনে বড় হয়নি, বড় হওয়ার জন্য সময় দিতে হয় এবং ধৈর্য্য ধরে কাজ চালিয়ে যেতে হয়।
০১। YouTube হতে টাকা আয়
অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে সহজ পথ হচ্ছে YouTube. এখান থেকে যে কোন বয়সের লোক খুবই সহজে টাকা ইনকাম করতে পারেন। ইন্টারনেট বিশ্বের জনপ্রিয় ১০ ওয়েবসাইটের মধ্যে YouTube হচ্ছে একটি। আপনি ইচ্ছে করলেই এখান থেকে কম সময় ব্যয় করে অল্প অভীজ্ঞতা নিয়ে মাসে ভালো মানের টাকা অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। এই জন্য আপনাকে যেটি করতে হবে- প্রথমে বিভিন্ন ভাল মানের ভিডিও YouTube এ আপলোড করতে হবে। ভিডিও তৈরি করার জন্য আপনার মোবাইল ফোনকে ব্যবহার করতে পারেন।
০২। ব্লগিং করে বা ব্লগে আর্টিকেল লিখে
আপনি গুগল ব্লগারে কিংবা ওয়ার্ডপ্রেসে বিনা মূল্যে একটি ব্লগ তৈরী করে নিতে পারেন। গুগল ব্লগার সম্পূর্ণ ফ্রিতে একটি ব্লগ তৈরি করার সুযোগ দিচ্ছে। তাছাড়া গুগল ব্লগার দিয়ে ব্লগ তৈরি করা খুব সহজ হওয়ায় আপনি চাইলে আপনার মোবাইল দিয়ে মাত্র ৫ মিনিটে নিজের একটি ব্লগ তৈরি করে নিতে পারেন।
০৩। Freelancing – একজন লেখক হয়ে
অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে বর্তমানে Freelancing একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। Freelancing করে বর্তমানে বাংলাদেশের হাজার হাজার লোক ঘরে বসে অনলাইন হতে টাকা আয় করছে। তাছাড়া বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকদের কাজে লাগানোর জন্য Freelancing বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর ব্যবস্থা চালু করেছে। অনেকে সেই সমস্ত সরকারী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হতে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে Freelancing এর মাধ্যমে মাসে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ইনকাম করে স্বাবলম্বি হচ্ছে।
০৪। Adsense থেকে টাকা আয়
Adsense হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনের (Advertisement) Program. এটি গুগল কর্তৃপক্ষ সয়ং নিজে পরিচালনা করছে। আপনি যদি আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলকে ভালোমানের Platform এ নিয়ে যেতে পারেন এবং ব্লগে বা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকে তাহলে Adsense থেকে আপনি হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
০৫। প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে (Ask And You Answer)
আপনি যদি বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন, যেমন ধরুন – Math, English, Physics, Biology, Humanities ইত্যাদি। তাহলে আপনি প্রশ্ন উত্তর প্রদানের মাধ্যমে ইন্টারনেটে অন্যের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে দিতে পারেন। আপনি যদি তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেন, তাহলে ইন্টারনেটে অনেক সাইট আছে যেগুলোতে জয়েন করার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করা হবে। তাদের সাইটে জয়েন করার মাধ্যমে ঐ কোম্পানী হতে আপনি ভাল মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি বেশ চালাক এবং বুদ্ধিমান হতে হবে। আপনি বুঝতেই পারছেন আপনার চালাকি এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে এখান থেকে টাকা আয় করতে হবে।
০৬। EBAY and AMAZON এ Products বিক্রি
আপনারা হয়তো জানেন যে, ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পন্য কেনা কাটার জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে Ebay and Amazon. এখানে লোকজন তাদের বিভিন্ন ধরনের Products বিক্রি করার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। আপনার পন্যটি যদি ক্রেতার কাছে ভাল মনে হয়, তাহলে পন্যটি কেনার জন্য ক্রেতারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। আপনি যদি আপনার Products বিক্রি করে একজন ভালোমানের বিক্রেতা হতে পারেন, তাহলে এখান থেকে কমদামে বিভিন্ন জিনিস ক্রয় করে ভালো দামে বিক্রয় করে লাভবান হতে পারেন। তবে এই সুবিধা পাওয়ার জন্য আপনাকে আগে একজন ভাল মানের বিক্রেতা হিসেবে প্রমান করতে হবে।
০৭। গ্রাফিকস ডিজাইন
অনলাইনে গ্রাফিকস ডিজাইনের চাহিদা প্রচুর পরিমানে রয়েছে। অনলাইনে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে গ্রাফিকস ডিজাইন একটি ভালো উপায়। যারা এই কাজে দক্ষ, তারা বিভিন্ন ডিজাইন বিষিয়ক অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে তাদের নিজেস্ব ডিজাইন দিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাদের ডিজাইনগুলো ক্রেতাদের পছন্দ হলে কিনে নেয়। এ ধরনের একটি পণ্য অনেকবার বিক্রি হয়, অর্থাৎ একটি ভালো নকশা থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা যায়। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার কাজটি আপনি প্রাথমিকভাবে এডোবি ফটোশপ থেকে শুরু করতে পারেন।
০৮। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট এখন আর শুধু বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নয়। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি সহজে অনলাইন হতে আয় করতে পারবেন। আপনার ৩-৫ টি ফেসবুক পেজে প্রচুর পরিমানে ফলোয়ার থাকলে আপনি ঘরে বসে খুব সহজে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কোম্পানির নিকট থেকে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ যেকোন কোম্পানির পন্যের প্রচারের জন্য এখন ফেসবুক ও টুইটার খুবই জনপ্রিয় মাধ্যম। এ ক্ষেত্রে আপনার জনপ্রিয় কোন সোশ্যাল মিডিয়া থাকলে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কোম্পানি আপনার সাথে যোগাযোগ করবেই। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য ও প্রাসঙ্গিক বিষয় হওয়া জরুরি।
০৯। ডাটা এন্ট্রি
অনলাইনে সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আয় খুব কম। তবে এ ধরনের কাজ অটোমেশনের কারণে এখন খুব কম পাওয়া যায়। যাদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও দ্রুতগতির টাইপিং দক্ষতা আছে, তারা এ ধরনের কাজ করতে পারবেন। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এ ধরনের কাজ রয়েছে। তবে যাদের কোনো কাজে দক্ষতা থাকে, তারা সহজে কাজ পান এবং দ্রুত আয় বাড়াতে পারেন।
১০। পিটিসি
অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে টাকা দেওয়া হয়। এ ধরনের সাইটকে পিটিসি সাইট বলে। প্রকল্প শুরুর আগে নিবন্ধন করতে হয়। তবে মনে রাখতে হবে পিটিসি সাইটগুলো বেশির ভাগ ভুয়া হয়। তাই কাজের আগে নিশ্চিত হতে হবে সেটি প্রকৃত সাইট কি না। অনেক সময় বন্ধুত্বের রেফারেন্স দিয়ে আয় করতে পারেন।
ভালো লাগলো
Nic
Very Good
U