আর্টিকেল লেখার জাদুকরী কৌশল!!! : বর্তমানে আর্টিকেল লেখা পেশা বা শখে পরিনত হয়েছে।ফলে বয়স্ক পুরুষ ও মহিলা,স্কুলের ছাত্র ছাত্রী, চাকুরী জীবী,কর্মজীবী গৃহিণী, শিক্ষক, বিভিন্ন ধরনের মানুষ অফলাইন ও অনলাইনেও লেখালেখি করেন। কিন্তু সবাই দক্ষ নয়।যদিও তারা দক্ষ এবং একজন অভিজ্ঞতা সম্পুর্ন লেখক হতে চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়ে যায় এবং আর্টিকেল লেখা থেকে ঝরে পড়ে। তাই আজকে আমি এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো একজন নতুন লেখকে অভিজ্ঞতা সম্পুর্ন গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। যেন পরবর্তীতে সে বা তারা নিজেরাই অন্যকে কিভাবে আর্টিকেল/ব্লগ/কনটেন্ট লিখতে হয় তা শিক্ষা দিতে পাড়ে।তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি।
১ম ধাপঃ-
প্রথমেই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন বিষয়টি নিয়ে লিখবেন। আপনি যে বিষয় বা প্রসঙ্গে লিখবেন সেটির উপর আপনার কিরূপ ধারণা আছে অথবা আপনি কতটুকু জানেন। তারপর আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে,ঐ বিষয়ে কত শব্দের মধ্যে একটি কনটেন্ট লিখতে বা তৈরি করতে পারবেন।কারণ আপনি যদি হঠাৎ করে যেকোন একটি আর্টিকেল লেখার জন্য বসে যান। তাহলে কিন্তু বেশি কিছু লিখতে পারবেন না।তাই অবশ্যই লেখার পূর্বে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিৎ। তাছাড়াও আপনি একজন অভিজ্ঞতা সম্পুর্ন ইতিহাসের ছাত্র হয়ে থাকলে মেডিকেল সংক্রান্ত ও প্রযুক্তি নিয়ে লেখা আপনার জন্য কষ্টসাধ্য হবে।সঠিক কি না বলুন?
অপরপক্ষে একজন অভিজ্ঞতা সম্পুর্ন মেডিকেল ছাত্রের জন্য ইতিহাস সংক্রান্ত বিষয়ে লিখতে খুব কষ্টসাধ্য হবে।একজন লেখকের জন্য কনটেন্ট রাইটিংয়ের কাজ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমনঃ-ওয়েব সাইটের জন্য কনটেন্ট রাইটিং,ব্লগ ও ই-বুক, নিউজ কনটেন্ট লেখা SEO কনটেন্ট অ্যাফিলিয়েট কনটেন্ট,বিভিন্ন ধরনের পণ্যের রিভিউ বা বর্ণনা লেখা,একাডেমিক, ও সিভি রাইটিং, ট্রান্সক্রিপশন রাইটিং গবেষণার কাজ, প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন ও ব্রশিউর রাইটিং একটি আর্টিকেলের রি-রাইটিং ইত্যাদি।
২য় ধাপঃ
চিৎকার চেচামেচি,হৈচৈ,বিকট শব্দ করে ইত্যাদি এমন পরিবেশে লিখতে বসে যান। তাহলে সব কিছু গুল মাল হয়ে যাবে।আপনি কিছুই লিখতে পারবেন না। অথচ আপনি পূর্বেই ঠিক করেছিলেন অনেক কিছু লিখবেন কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতিতে সব নষ্ট। তাই যে কোন বিষয়ে লিখতে গেলে অবশ্যই পরিবেশ নিশ্চিত করা উচিৎ। সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনি সকাল ৭ থেকে ৮ মধ্যে নিরব, নিরবচ্ছিন্ন,স্তবদ্ধ জায়গায় আর্টিকেল লিখেন।অথবা বিকাল ৫ টার সময় লিখতে পারেন।
৩য় ধাপঃ-
আর্টিকেল লেখার পূর্বে আপনার সকল ধরনের কাজকর্ম গুলো শেষ করে লেখা শুরু করুন। তা না হলে লিখার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হবে। খুব বেশি জরুরি কাজ আগেই সমাপ্ত করে তারপর আপনার লেখা শুরু করে দেওয়া উচিৎ। যদিও কখন কি হয় বলা মুসকিল তারপরও চেষ্টা করবেন ঐসময়টুকু ঠান্ডা মাথায় ধীর স্হীরভাবে কনটেন্ট লেখার জন্য।যে,সকল লেখক আমাদের দেশের বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনের জন্য আর্টিকেল লিখে
টাকা ইনকাম করে তাদের আলাদা রুম থাকে।কিন্তু সবার ক্ষেএে তা সম্ভব নয়।
৪র্থ ধাপঃ-
এখন আপনার কনটেন্ট লেখা শুরু করার পালা।আপনার অবশ্যই অবশ্যই ব্যাপক তথ্য বহুল কনটেন্ট তৈরি করা উচিৎ। বিশেষ করে যে কোন ধরনের ওয়েবসাইটের জন্য। কারণ থিন বা কম তথ্য বহুল লেখা/ আর্টিকেল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার জন্য googl search engine ঐসকল সাইটকে পেলান্টী দিচ্ছে।তাই আগেই সাবধান ও সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো। বুঝতে পারছেন তো?
তাছাড়াও আপনার লেখার মাধ্যমে লোকজন যদি কিছু জানতে না পারলেন তাহলে ঐ লেখা লিখে বা লোকজনের লাভ কি বলুন? বরং আরও ক্ষতি। কারণ তাদের MB,মূল্যবান সময়,বিনোদন, চাহিদার অপুরণ, ইত্যাদি কেবল নষ্ট হবে।তাই এমন আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করবেন যেন,ভিজিটরের চাহিদা পূরণ হয়।আর সে বার বার আপনার লেখাগুলো পড়তে চায়!
ফলে সহজেই আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।
ভালো আর্টিকেল/কনটেন্ট লেখার গাইড লাইন
👉 প্রতিটি আর্টিকেল কমপক্ষে ৫০০ শব্দের মধ্যে লিখুন।বেশি হলে খুব ভালো হবে।তবে লেখা বেশি করতে হাবিজাবি লিখবেন না।
👉একটি হেড লাইনের জন্য ৫টি বা ১০ টি সারি লেখা ভালো।
👉উদাহরণ দিয়ে বুঝাতে চেষ্টা করুন। যাতে ভিজিটর খুব সহজেই বুঝতে পারে।***
👉বাংলা ভাষায় কনটেন্ট লিখতে চায়লে বাংলায় ভাষা ও ব্যাকরণের উপর ভালো জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আর ইংরেজিতে লিখতে চাইলে ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা অর্জন করুন।
👉সহজেই বোঝা যায় এমনভাবে লেখার চেষ্টা করুন এবং লেখার ভেতর বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে পারেন।
👉সঠিক বানানে দ্রুত লেখার অভ্যাস করুন এবং অন্যের কনটেন্ট কপি-পেস্ট না করে স্বতন্ত্র কনটেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করুন।***
👉 আর্টিকেলে কোনো প্যারাগ্রাফ খুব বড় করা
ঠিক নয়। কারণ একটা বিশাল বড় টেক্সট এর ব্লক কেউ পড়তে চায় না।কেননা এভাবে পরে তাদের মজা লাগেনা। তাই আর্টিকেলটা ছোট ছোট প্যারা দিয়ে সুন্দর করে লিখুন। কোনো প্যারা খুব বড় হয়ে গেলে সেটাকে ভেঙ্গে ২ বা ৩ প্যারায় লিখে ফেলুন।
👉আপনার লেখা আর্টিকেলে পর্যাপ্ত এবং যে জায়গায় হেডিং ও সাব হেডিং দরকার ঠিক সেখানেই এসব ব্যবহার করবেন। এছাড়াও যেখানে যেখানে সম্ভব বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করার ট্রাই করবেন। এতে করে আপনার আর্টিকেলের রিড্যাবিলিটি বাড়বে। ভিজিটররা খুব সহজেই আর্টিকেলটা পড়তে পারবে।
👉লেখার মধ্যে বিভিন্ন শব্দের বানান, ব্যাকরণ ও বাক্যের গঠনের দিকে খেয়াল রাখুন।***
👉 নিশ্চিত না হয়ে নিজের ধারণা থেকে বা অনুমানের ভিত্তিতে কোনো তথ্য না দেওয়া।আর নির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্য সূত্রগুলো উল্লেখ করা উচিৎ।
👉অনেক বড় একটি প্যারাগ্রাফ না লিখে একেকটি বিষয়ের উপর একেকটি ছোট প্যারা গ্রাফ তৈরি করা ভালো।
👉 যথাযথ কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করতে হবে এবং নিয়মিত চর্চা করা।
👉 আপনি প্রচুর পরিমাণে রিসার্চ করার করুন। তার মানে হলো আপনি যেই টপিকটা নিয়ে লিখতে চাচ্চেন, সেটা সম্পর্কে আগে রিসার্চ করে ভালো করে জানুন। তারপর ওই টপিকটার উপর একটা পূর্ণাংগ ইনফর্মেশনে ভরা আর্টিকেল লিখে ফেলুন।ফলে ভিজিটররা আপনার আর্টিকেল থেকে ভ্যালু পাবে।
👉আপনি যদি আপনার নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার আর্টিকেল লেখা শেষ না করতে পারেন।তাহলে কিছুক্ষন ঘোরাফেরা করে ফ্রেশ হয়ে আবার লিখতে বসেন। সময়ের চাপ নিয়ে ভুলেও আপনি কখনো ভালো আর্টিকেল লিখতে যাবেন না।
👉 “যতই পড়িবে ততই শিখিবে “তাই বেশি বেশি করে পড়বেন ফলে আপনার তত বেশি ভালোআর্টিকেল লেখার দক্ষতা বাড়বে। শুধু বই নয়, ইন্টারনেটে প্রত্যেকটা টপিকের উপর হাজার হাজার আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট আছে। আপনি যে, বিষয়ে ইন্টারেস্টেড, সে বিষয়ের আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট পড়া শুরু করুন। এতে করে সহজেই আপনার ভোকাবুলারি বাড়বে এবং আপনি কিভাবে ইন্টারেস্টিং ওয়েতে লিখতে হয় তাও শিখতে পারবেন।
আর্টিকেল লেখার পরে করণীয় কাজ গুলো
👉আর্টিকেলটি যদি লেখা শেষ হয়ে থাকে তবে
তা ভালোভাবে রিভাইজ করুন। কমপক্ষে ২ বার পড়ুন।কারণ আর্টিকেলে কোন ধরনের গ্রামাটিক্যাল ভুল রাখা যাবে না।***
👉 আপনার লিখা আর্টিকেলটা অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই ১০০% ইউনিক হতে হবে। কোনো ভাবেই কপি পেস্ট করা যাবে না।***
👉আপনার তৈরিকৃত আর্টিকেলটি হাই কোয়ালিটি না লো কোয়ালিটি সেটা পরিক্ষা করুন আর তা বোঝার জন্য কতগুলো উপায় আছে। আর্টিকেলটা লেখার পর আপনি নিজেই চেক করতে পারবেন সেটার কোয়ালিটি কেমন।
বা কোন বন্ধুকে পড়তে দিবেন এবং পড়া শেষে
তাকে বলবেন কেমন হয়েছে লেখাটি?
আরও পড়ুন মোবাইল দিয়ে দৈনিক কমপক্ষে ৫০০ টাকা ইনকাম ওয়েবসাইট
https://jit.com.bd/blog/earn-money-mobile/
জে আইটি ওয়েবসাইট রিভিউ
https://jit.com.bd/blog/earn-money-online-at-home/
উপসংহার টানতে দ্বিধা নেই আমার তবে আপনাকে আবারও মনে করিয়ে দিতে চায় যে,কোন ক্রমেই তাড়াহুড়া অবহেলা,তুচ্ছ, তাচ্ছিল্য করে আর্টিকেল লিখবেন না। সবাই ভালো থাকুন সবসময়ই,হ্যাপি ব্লগিং। লেখক মোঃ লোকমান হোসেন বাংলাদেশ।
Very nice. Go ahead.
আমাদের সবার মাঝে আলোচনা করা দরকার যে কিভাবে বেকারত্ব দারিদ্রতা দুর করা যায় দেশের মানুষের ।কিন্তু আমাদের মতো লোকেদের একার পক্ষে অসম্ভ্যব।তাই এখানে সত্যি যদি ইনকাম করা যায়,তবে ইনকাম করার পাশাপাশি,কার এলাকায় কি সমস্যা তার কারন সহ বলা বা আলোচনা এবং অর্থ দিয়ে না করতে পারলেও উপদেশ ও প্রতিকারের উপায় বের করবো যোগাযোগ 01941151389 মহন।