ব্লগিং কি? ব্লগিং করতে এই 31 টি বিষয় আপনাকে জানতেই হবে

ব্লগিং পেশাটা বর্তমানে অনলাইন জুড়ে একটি ট্রেন্ডিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে অনেক নতুন নতুন ব্লগার তৈরি হচ্ছে এবং অনেকেই সফল হচ্ছে। আবার অনেকেই ব্লগিং (Blogging) লাইফে এসে কিছুদিন পর ড্রপ আউট হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কেন?

ব্লগিং নিয়ে আজকে আমি বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছি। আপনি যদি ব্লগিং করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।

একজনের কাছে শুনে, দু/একটি আর্টিকেল পড়ে দু-চারটি ভিডিও দেখেই ব্লগিং-এর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। বিষয়টি অতটা সহজ নয়। তাই ব্লগিং শুরু করার আগে আপনি জেনে নিন এই বিষয়গুলি সম্পর্কে । তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার দ্বারা ব্লগিং সম্ভব কিনা।

তবে একটি কথা বলতে পারি আপনি ভালো করে জেনে ব্লগিং সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করে  ব্লগিং শুরু করেন তাহলে মাসে 50 হাজার থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা ইনকাম করা ব্যপারই না।

আপনি যদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে থাকেন তাহলে তো আমি মনে করবো আপনি ব্লগিং জীবনে সফল হয়ে গিয়েছেন। আর যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো ফলো করুন তাহলে খুব দ্রুত ব্লগিং সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।

প্রথমে আমরা ব্লগিং এর সাথে পরিচিত হয়ে নিইঃ

ব্লগিং করতে চান আপনাকে এই বিষয়গুলি জানতেই হবে।
ব্লগিং করতে চান আপনাকে এই বিষয়গুলি জানতেই হবে।

ব্লগিং কি? কেন ব্লগিং করবেন?

সহজভাবে বলতে গেলে, ব্লগিং হলো অনলাইনে কোন একটি বিষয় সম্পর্কে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া। আরেকটু বিস্তারিত বলতে গেলে: কোন একটি উদ্দেশ্যে একটি নির্ধারিত বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইউজারদের সুবিধার জন্য উপস্থাপন করা। যাতে একজন ইউজার এর কোন একটি বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে খুব সহজেই ইন্টারনেটে সার্চ করে জেনে নিতে পারে।

অর্থাৎ: মনে করুন আপনার একটি মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ড থেকে সকল মিডিয়া ডিলিট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আপনি জানেন না সেই মিডিয়াগুলো পুনরায় কিভাবে ফিরিয়ে আনবেন। তাই আপনি “ডিলেট মিডিয়া ফিরে পাওয়ার উপায়” ইন্টারনেটে সার্চ করলেন। সঙ্গে সঙ্গে নিচে অনেকগুলো সমাধান সহ রেজাল্ট চলে আসছে।

এবং আপনি সেখান থেকে যে কোন একটি রেজাল্টের উপর ক্লিক করে জেনে নিলেন কিভাবে আপনার মিডিয়াগুলো পুনরায় ফিরে পেতে পারেন।

এখন আপনার সার্চ রেজাল্টে যতগুলো লিংক এসেছে এর প্রত্যেকটি এক একটি ব্লগ। এবং যারা এই ব্লগ গুলো কে নির্মাণ করে সার্ভিস দিচ্ছে তারা হচ্ছেন ব্লগার। এবং এই পেশাটি হচ্ছে ব্লগিং। আশা করি বোঝাতে পেরেছি।

ব্লগিং কেন করবেনঃ মানুষ বিভিন্ন কারণে ব্লগিং করে তার মধ্যে অন্যতম কিছু কারণ হচ্ছে,

  • নিজের পেশা হিসেবে অর্থ উপার্জন করার জন্য ব্লগিং করা।
  • শখের বশে ব্লগিং করা।
  • পার্ট টাইম ব্যবসা হিসাবে ব্লগিং করা।
  • আপনি যে বিষয় গুলো জানেন সে বিষয়গুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ভালোবাসেন। তাই আপনার বিষয় গুলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ব্লগিং করা।

আজকে আমরা মূলত আলোচনা করছি প্রথম বিষয়টি নিয়ে অর্থাৎ, পেশা হিসেবে কিভাবে ব্লগিং করতে হবে। ব্লগিং করে কিভাবে টাকা উপার্জন করা যায় এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়া যায়। আর আপনি যদি ব্লগিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে ব্লগিং শুরু করার পূর্বে নিচের বিষয়গুলো আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।

Read More: বাংলা পূর্ণাঙ্গ ব্লগিং টিউটরিয়াল এখানে

#১।  ব্লগিং করার উদ্দেশ্য

ব্লগিং এর ব্যাপারে আলোচনা করতে গেলে প্রথমে যে বিষয়টি আসে সেটি হলো আপনি ব্লগিং কেন করতে চাচ্ছেন। আপনার ব্লগিং এর উদ্দেশ্য কি। আপনার ব্লগিং করার উদ্দেশ্য যদি টাকা ইনকাম করা হয় তথা ক্যারিয়ার ডেভেলপ করা হয়, তাহলে অবশ্যই ব্লগিং করার শুরুতে আপনাকে প্ল্যানিং করতে হবে।

আর যদি শখের বসে ব্লগিং করেন তাহলে সেটা ভিন্ন কথা। আজ আমরা সে বিষয়ে যাবনা।

যেহেতু আমার উদ্দেশ্য হলো ব্লগিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়া অর্থাৎ টাকা ইনকাম করা। দূর করার শুরুতে জিরো ভাবে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যে আমি অবশ্যই ব্লগিং করে সফল হতে পারব। আর যদি আপনি প্ল্যানিং না করে শুরু করেন তাহলে ব্লগিং ক্যারিয়ার এলোমেলো হয়ে যেতে পারে।

ব্লগিং করার উদ্দেশ্য সেট করার সময় যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা উচিতঃ

  • প্রথমে নিজে নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন যে আপনি ব্লগিং করতে পারবেন কিনা? যদি উত্তর না হয় তাহলে এখনো ছেড়ে দিন।
  • আর যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে নিচের বিষয়গুলো ফলো করে আজকেই ব্লগিং শুরু করে দিন।
  • আর যদি আপনার এমন মনে হয় যে আজ ব্লগিং শুরু করব যদি তিন মাসের মধ্যে কোন একটি পর্যায়ে যেতে পারি তাহলে ব্লগিং করব অন্যথায় ছেড়ে দেবো। এরকম পরিকল্পনা থাকলে তাহলে আজও ব্লগিং এর চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। কেননা আপনি যদি ব্লগিং এর জন্য পুরোপুরি নিজের মাইন্ড কে সেট না করতে পারেন তাহলে আপনার দ্বারা ব্লগিং করা হবে না।
  • অথবা আপনি মনে মনে ধারণা করছেন আপনি অবশ্যই ব্লগিং করতে পারবেন, কিন্তু মন থেকে আপনার এই সমস্ত কাজগুলো ভালো লাগেনা। কিছুটা ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে শুরু করতে যাচ্ছেন। যদি আপনার পরিস্থিতি এমন হয় তাহলে আপনি আরও ভাবুন।

একটা কথা মনে হলো: বহু আগে শুনেছিলাম, “পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো অন্যের পকেট থেকে টাকা বের করে নিজের পকেট এ আনা ” প্রবাদটি একেবারেই সত্য। কথাটি  কিন্তু অবশ্যই আপনার মাথায় রাখতে হবে।

যাই হোক, এবার আসছি আপনি কি ধরনের ব্লগিং করবেন। এ বিষয়টি জানতে অবশ্যই জানতে হবে ব্লগিং এর ধরন গুলো সম্পর্কে।

[sc name=”responsve” ]

Read More: গুগল এডসেন্স থেকে মাসে $১৫০০ ডলার আয় করার উপায় । পূর্ণাঙ্গ গুগল এডসেন্স এর নিয়ম

#২। কি ধরনের ব্লগিং করবেন

ব্লগিং এর ধরন সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই আমরা  ব্লগকে মোটামুটি 6 টি ভাগে বিভক্ত করতে পারি। এরমধ্যে আপনাকে বেছে নিতে হবে আপনি কি ধরনের ব্লগিং করবেন। মনে রাখবেন যে ধরনের ব্লগিং করবেন আপনাকে সেই ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে কেননা ব্লগিং এর ধরন অনুযায়ী আপনার কাজের ধরনটাও ভিন্ন হতে হবে। যথা:

ক) নিউজ ব্লগঃ (News Blog) নিউজ ব্লগ হল অনলাইন পোর্টাল। অর্থাৎ যেখানে সব ধরনের ক্যাটাগরি থাকবে প্রতিনিয়ত আপডেট করতে হবে। এ ধরনের ব্লগে লোকাল নিউজ এবং সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা এবং তথ্যাবলী আপডেট করা হয়। এর জন্য প্রচুর জনবল প্রয়োজন হয় অর্থাৎ বিভিন্ন এরিয়াতে জনবল সেট করতে হয় সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য।

এসমস্ত ওয়েবসাইটে, স্থানীয় সংবাদ, সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া সংবাদ, রাজনৈতিক সংবাদ, আন্তর্জাতিক সংবাদ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন, লাইফস্টাইল, খেলাধুলা, গল্পকবিতা অন্তর্ভুক্ত থাকে।

খ) তথ্যবহুল ব্লগঃ (informative blog) দ্বিতীয়ত যে ওয়েবসাইটে রয়েছে এটি হচ্ছে তথ্যবহুল অর্থাৎ এখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রতিনিয়ত আপডেট করতে হবে। এসমস্ত ওয়েবসাইট কোন একটি ক্যাটাগরি যথা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরি, মার্কেটিং ইত্যাদি যেকোনো বিষয় হতে পারে।

গ) প্রোডাক্ট রিভিউ ব্লগঃ (Product Review Blog) অতঃপর যেটি রয়েছে সেটি হল প্রোডাক্টের রিভিউ ওয়েবসাইট বা ব্লগ। এখানে যেকোনো পণ্য বা প্রোডাক্টের রিভিউ করা হয়। এটি হতে পারে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন বা অন্যান্য গেজেট অথবা ডিভাইস। প্রডাক্ট রিভিউ ব্লগ নরমালি ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোতে করা হয়। এখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রয় করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর গুণগত মান সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয় এবং গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।

ঘ) অনলাইন সার্ভিস রিলেডেট ব্লগঃ (Online Service Related Blog) এটা হচ্ছে বিভিন্ন অনলাইন সার্ভিস রিলেটেড ওয়েবসাইট। এসমস্ত ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস দেয়া হয় এবং বিভিন্ন বিষয়ের উপর লোকাল সার্ভিস দেয়া হয়। অনলাইন সার্ভিসগুলোর মধ্যে হোস্টিং সার্ভিস, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস, আইন সংক্রান্ত সার্ভিস বা পরামর্শ, ব্যবসা সংক্রান্ত তথ্য, এছাড়া নানান কিছু।

ঙ) সিঙ্গেল নিশ ব্লগঃ (Single Niche Blog) নিস ব্লগ মূলত কোন একটি সিঙ্গেল টপিক নিয়ে নির্মাণ করা হয়। অর্থাৎ এই সমস্ত ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র একটি বিষয়ের উপর লেখালেখি এবং সেবা প্রদান করা হয়। নিস ব্লগ টি কোন একটি সিঙ্গেল সার্ভিস অথবা ই-কমার্সের সিঙ্গেল কোন প্রোডাক্ট নিয়ে তৈরি করা হয়। এ সমস্ত ওয়েবসাইটে যে প্রোডাক্ট বা  সার্ভিস নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করা হয় শুধুমাত্র সেই রিলেটেড ভিজিটর টার্গেট করে ব্যবসা করা হয়।

এসমস্ত নিচের মধ্যে এডসেন্স টার্গেটেড হলে কোন ইনফরমেটিভ নিশ কাজ করা হয়। অথবা ই-কমার্স ওয়েবসাইট হলে যেকোনো সিঙ্গেল একটি প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করা হয়।

চ) মাইক্রোনিশ ব্লগঃ (Micro niche blog)  মাইক্রোনিড ওয়েব সাইটটি যেকোন ওয়েবসাইট এর একটি অংশ। একটা জিনিস থেকে বাছাই করে যেকোনো একটি কিওয়ার্ড টার্গেট করে ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়। এখানে শুধুমাত্র 10 থেকে 12 টি আর্টিকেল দিয়ে একটি ওয়েবসাইট সম্পন্ন করা হয়। এবং এখানে একটি বিষয়ের উপর টার্গেট করে কাজ করতে হয়। তবে সিঙ্গেল ওয়েবসাইটে এর প্রয়োজন হয় না।

এতক্ষণে আপনি জেনে গেছেন ব্লগ এর ধরন সম্পর্কে। এখন আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি বিষয়ের উপর বা কি ধরনের ব্লগিং করবেন। আপনি নিজ বা টপিক এর ধারণা পেয়ে গেলে আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।

[sc name=”inarticle” ]

#৩। ব্লগিং এর জন্য কিভাবে নিশ/টপিক নির্বাচন করবেন

আপনি যখন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তখন আপনাকে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে নিস বা টপিক নির্ধারণ করতে হবে অন্যথায় আপনার ওয়েবসাইট নিয়ে বেশি দূর এগোতে পারবেন না। ব্লক তৈরি অথবা ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য যখন টপিক নির্বাচন করবেন নিচের এই বিষয়গুলো আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

  • আপনি যে টপিক নির্বাচন করছেন সেটি যাতে কম্পিটিশন খুবই কম হয়। আপনি এমন একটি টপিক নির্বাচন করেছেন যার ওপর আরো কয়েক হাজার আর্টিকেল রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনার আর্টিকেলটি ভিজিটর দের খুঁজে পেতে কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।
  • আপনাকে এমন টপিক/বিষয় নির্বাচন করতে হবে ইউজাররা ওয়েব সাইটে সার্চ করে। এমন কোন টপিক নির্বাচন করা যাবে না যে সমস্ত টপিক মানুষ অনলাইনে খুঁজে না। আপনি এমন একটি বিষয় নির্বাচন করলেন যে বিষয় সম্পর্কে কারোর কোন প্রয়োজন হয় না তাহলে আপনার ওয়েবসাইট কেউ ভিজিট করবে না।
  • আপনি যে বিষয় সম্পর্কে ভাল বুঝেন জানেন বা জ্ঞান আছে সে বিষয় সম্পর্কে টপিক নির্বাচন করুন।
  • ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য টপিক নির্বাচন করার ক্ষেত্রে চাহিদাসম্পন্ন টপিক নির্বাচন করার চেষ্টা করুন।
  • যে বিষয়ের উপরে অনলাইনে বা বিভিন্ন জায়গায় পর্যাপ্ত রিসোর্স রয়েছে সেই সমস্ত বিষয়ে ব্লগিং এর জন্য নির্বাচন করুন। যাতে আপনার প্রয়োজনে আপনি সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
  • গুগল এডসেন্স টার্গেট করে কাজ করলে অবশ্যই High CPC কীওয়ার্ড টার্গেট করে কাজ করুন।
  • যদি এফিলিয়েট টার্গেট করে ওয়েবসাইট তৈরি করেন সেক্ষেত্রে যে সমস্ত প্রোডাক্ট এর কমিশন বেশি সেই সমস্ত প্রোডাক্ট নির্বাচন করুন।

উপরের বিষয়গুলো লক্ষ্য করে যদি আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে আশা করি সে ওয়েবসাইট টি নিয়ে আপনি বহুদূর এগিয়ে যেতে পারবেন। আর যদি কোনরকম পরিকল্পনার না করে আপনি ওয়েবসাইট তৈরী করে কাজ করা শুরু করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে মাঝপথে থেমে যেতে হবে। এছাড়াও প্রতিমুহূর্তে আপনাকে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে।

#৪। ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবেন

এতক্ষণে বুঝে গেছেন কিভাবে একটি ওয়েবসাইটের জন্য টপিক নির্বাচন করবেন এবং প্ল্যানিং করবেন। এবার আসা যাক আপনি যখন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন আপনার কি কি জিনিসের প্রয়োজন সেগুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনাঃ

আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরি করেন সেক্ষেত্রে প্রথমেই আপনার একটি ডোমেইন এবং একটি হোস্টিং প্যাকেজ লাগবে। অতঃপর সেখানে একটি সিএমএস/Content Management System ইনস্টল করেই কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটটি সম্পন্ন করতে পারবেন। এছাড়াও একটি ওয়েবসাইটে ডিজাইন এবং থিম এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। আমরা নিচে ডোমেইন হোস্টিং এবং সিএমএস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

[sc name=”468×60″ ]

#৫। ডোমেইন কি? কোথায় থেকে ডোমেইন কিনবেন

একটি ওয়েবসাইট এর ঠিকানা/নাম। যেটি লিখে একজন ইউজার আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। যেমন (jit.com.bd, google.com, facebook.com) একটা ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন আগে আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু বিষয় ভেবে চিন্তে তারপর ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

আপনি চাইলে যেকোনো একটি দেশি প্রোভাইডারের কাছ থেকে ডোমেইন কিনতে পারবেন এছাড়া আপনি চাইলে ইন্টারন্যাশনাল কোন কোম্পানি থেকে নিজে নিজেই রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আমি সাজেস্ট করবো অবশ্যই ইন্টার্নেশনাল কোন কোম্পানি থেকে ডোমেইন কিনুন। তাহলে পরবর্তীতে আপনাকে কোন সমস্যায় পড়তে হবে না।

Read More: ডোমেইন কি? কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন ? ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করার পূর্বে যে সমস্ত বিষয় খেয়াল রাখা উচিত।

#৬। ওয়েব হোষ্টিং কি? কোথায় থেকে কিনবেন

ওয়েব হোস্টিং হলো আপনার ওয়েবসাইটটি রাখার একটি মেমোরি বা ভার্চুয়াল সার্ভার। যেখানে আপনার ওয়েবসাইটটি থাকবে এবং সেখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটে দেখা যাবে। আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো সেই হোস্টিং সার্ভারে থাকবে এবং যখন কোন ইউজার আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে সেখান থেকে পরিচালিত হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক হোস্টিং প্রোভাইডার রয়েছে যারা আপনাকে অল্প টাকায় হোস্টিং সার্ভিস দিয়ে থাকে। এছাড়াও আপনি চাইলে ইন্টার্নেশনাল যে কোন কোম্পানি থেকে কম খরচে অথবা বেশি খরচে (মানের উপর) ওয়েব হোস্টিং কিনতে পারবেন।

Read More: ওয়েব হোস্টিং কি ? ওয়েব হোষ্টিং কেনার আগে যে ভিষয়গুলো লক্ষ রাখা উচিৎ। 

#৭। সিএমএস কি? কোন সিএমএস নির্বাচন করবেন

CMS (Content Management System) হলো ওয়েবসাইট পরিচালনা করার একটি ফ্রেমওয়ার্ক। যখন আপনি একটি সিএমএস ব্যবহার করবেন তখন আপনার ওয়েবসাইট এর সকল কার্যক্রম সিএমএস দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অর্থাৎ আপনি কিভাবে পোস্ট করবেন, কিভাবে একটি নতুন আর্টিকেল যুক্ত করবেন, কিভাবে একটি আর্টিকেল ডিলিট করবেন, কিভাবে একটি ছবি যুক্ত করবেন, কিভাবে একটি ফাইল আপলোড করবেন, কারা আপনার ওয়েবসাইটে কমেন্ট করতে পারবে কারা পারবে না, আপনার ওয়েব সাইটের এডমিন ইউজার এবং মেম্বার যুক্ত করতে পারবেন এই সিএমএস এর মাধ্যমে।

বর্তমানে মার্কেটে অসংখ্য সিএমএস রয়েছে আপনি চাইলে এরমধ্যে থেকে যে কোন একটি CMS (Content Management System) ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

[sc name=”468×60″ ]

বর্তমানে ব্যবহৃত শতশত CMS (Content Management System) এর মধ্যে জনপ্রিয় জনপ্রিয় কিছু CMS হলোঃ

ওয়ার্ডপ্রেসঃ ওয়াডপ্রেস PHP দ্বারা নির্মিত একটি ওপেনসোর্স কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে আপনাকে কোনরকম কোডিং এর ঝামেলা পোহাতে হবে না। আপনি যেকোন ডিজাইন বা ফাংশন ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন এর মাধ্যমে সম্পাদন করতে পারবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস এর বিভিন্ন ফাংশনালিটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বর্তমান মার্কেটে অসংখ্য রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে আপনাকে কোন রকম প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে হবে না। এবং একটি তুলনামূলক অনেক সহজ এবং জনপ্রিয়।

আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইট বানাতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে ওয়াডপ্রেস সম্পর্কে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। 20 মিনিটেই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করুন।

ব্লগারঃ আপনারা চাইলে ব্লগার সিএমএস দিয়েও ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এটি গুগলের একটি ফ্রি সার্ভিস। কিন্তু এখানে বেশ কিছু লিমিটেশন রয়েছে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে আপনি যদি ব্লগার সিএমএস ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন সেক্ষেত্রে গুগল আপনাকে ফ্রী 15 জিবি ভালো মানের হোস্টিং দেবে। যে হোস্টিংটি বাজারে থাকা অন্যান্য হোস্টিং এর মতই সার্ভিস দিতে পারবে।

Read More: ব্লগার দিয়ে কিভাবে ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন দেখে নিন।

আপনি যদি ব্লগার ইউজ করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে হোস্টিং নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না। এবং ব্লগারের ফ্রি হোস্টিং বাজারে থাকা কমদামি হোস্টিং এর থেকে অনেক ভাল। তাছাড়া এটি গুগলের সার্ভিস। গুগোল সবসময় ভালো জিনিস প্রোভাইড করে থাকে।

লারাভেলঃ এটিও একটি ওপেনসোর্স PHP সিএমএস ফ্রেমওয়ার্ক। আপনি যদি লারাভেল ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান সে ক্ষেত্রে তারা শুধুমাত্র আপনাকে ফ্রেমওয়ার্ক সফটওয়্যারটি প্রদান করবে। এছাড়া ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং বিভিন্ন ফাংশনালিটি আপনাকে কোডিং করে নিজের মতো করে তৈরি করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে একজন ভালো ডেভেলপার এর শরণাপন্ন হতে হবে অথবা নিজেই কোডিং শিখতে হবে।

জুমলাঃ ওয়ার্ডপ্রেসের মত এটি আরো একটি ওপেনসোর্স সিএমএস। জুমলা ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করলে কোন কোডিং এর ঝামেলা পোহাতে হয় না। এটা তুলনামূলক সহজ তবে এর ব্যবহার কম।

এছাড়াও বর্তমান বাজারে আরও অনেক রকমের সিএমএস রয়েছে আপনারা চাইলে তার মধ্য থেকেও যেকোন একটি সিএমএস নির্বাচন করে আপনার ওয়েবসাইট তৈরী করে নিতে পারেন।

অথবা কোনো ভালো মানের ওয়েব ডেভলপার দিয়ে একটি নতুন সিএমএস তৈরি করে নিতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনাকে প্রচুর টাকা খরচ করতে হবে। আমার পরামর্শ যেহেতু বিভিন্ন ওপেনসোর্স সিএমএস রয়েছে সেক্ষেত্রে টাকা খরচ করে দিয়ে সিএমএস নির্মাণ করার কোন যুক্তি নেই।

ওয়েবসাইট সম্পর্কে এতক্ষণ আমরা বিস্তারিত জানলাম এখন জানবো ওয়েবসাইট এর ভিতর গত অর্থাৎ ব্লগিং করতে হলে যে বিষয়গুলো আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বেসিক ধারণা।

[sc name=”468×60″ ][/sc]

Read More: ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগস্পট কোনটি ব্যবহার করবেন

#৮। ওয়েবসাইট এর পোষ্ট এবং পেজ কিভাবে কাজ করে

একটি ওয়েবসাইটে আপনার কনটেন্ট দুইভাবে পাবলিশ করা যায় একটি হলো একটি ব্লগ পোস্ট এর মাধ্যমে অথবা আপনি চাইলে আপনার আর্টিকেলটি একটি পেজ এর মাধ্যমেও প্রকাশ করতে পারবেন।

নরমালি যে সমস্ত নিউজ বা তথ্যসমূহ সচারাচর আপডেট করা হয় সেগুলো পোস্ট আকারে করা হয়। এবং এগুলি একটি ব্লগে নিয়মিত কনটেন্ট। এছাড়া বেশকিছু নির্ধারিত করে পাবলিশ করা হয় যেগুলো একটি ওয়েবসাইট এর মধ্যে থাকে এবং সব সময় একই রকম থাকে।

একটি ওয়েবসাইটের যে সকল পেজ থাকেঃ কাহারো প্রথম লেভেলে ১০ জন অর্থাৎ ডিরেক্ট ১০জন মেম্বার হলে তখন সে ওয়ান স্টার মেম্বার হয়ে যাবের। About Us, Contact Us, Member, Frontend Dashboard, Pricing, Product, Privacy Policy, Term & Condision.

#৯। আর্টিকেল রাইর্টি কি? কিভাবে আর্টিকের লিখতে হয়

আর্টিকেল তথা কনটেন্ট হলো একটি ওয়েবসাইটের প্রাণ। অর্থাৎ একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে হলে অবশ্যই আর্টিকেল রাইটিং শিখতে হবে। অন্যথা একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখতে হলে একটি ওয়েব আর্টিকেল এর বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে সেগুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, এট্রাক্টিভ হিডিং, আর্টিকেল এর সারাংশ, বিস্তারিত আলোচনা, এবং সমাপনী। এবং একটি আর্টিকেল এর মধ্যে কিছু মিডিয়া ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল লিঙ্ক করতে হয়।

আপনি যদি আর্টিকেল রাইটিং শিখতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি ফলো করতে পারেন। কিভাবে একটি আকর্শনীয় আর্টিকেল লিখবেন

#১০। পার্মালিংক কি? পার্মালিংক কেমন হওয়া উচিৎ

ব্লগিং করতে হলে পার্মালিংক সম্পর্কে অবশ্যই আপনার ধারনা থাকতে হবে। পার্মালিনক হল আপনার প্রতিটি আর্টিকেলের আলাদা আলাদা লিংক। যে লিঙ্ক ধরে ভিজিটররা নির্ধারিত একটি আর্টিকেল খুঁজে পাবে। অর্থাৎ আপনার মূল ডোমেইন এর পরে স্ল্যাস (/)  চিহ্ন দিয়ে যে অংশটুকু যুক্ত করা হয় সেটি হল একটি ব্লগের পোস্ট পার্মালিংক। ওয়েবসাইট এর প্রতিটি পোষ্ট ক্যাটাগরি এবং পেজের পার্মালিনক ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।  যেমন: jit.com.bd/permalink

#১১। কী ওয়ার্ড কি? কিভাবে কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন

একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য কিওয়ার্ড গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি যখন কোনো একটি কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখবেন তখন অবশ্যই কোনো একটি কিওয়ার্ড কে টার্গেট করে লিখতে হবে। তাহলে আপনার একটি ব্লগ পোস্ট খুব দ্রুত গুগলে রেংক করবে।

কীওয়ার্ড কি?

কিওয়ার্ড হল এমন একটি শব্দ যেটি সার্চ ইঞ্জিনে লিখে কোন একটি বিষয় সার্চ করে। মানুষ যে সমস্ত বিষয় লিখে গুগলে সার্চ করে প্রত্যেকটি শব্দ কিন্তু কিওয়ার্ড নয়। সার্চ করা প্রত্যেকটি শব্দ এক একটি সার্চ কোয়েরি।

এবং প্রত্যেকটি সার্চ কোয়েরির মধ্য থেকে বেশ কিছু শব্দ রয়েছে যেগুলো গুগোল এর সার্চ কনসলে নির্ধারিত থাকে।  যে কোন সার্চ কোয়েরি লিখে সার্চ করার পর কোয়েরীগুলো যে কি-ওয়ার্ড এর সাথে ম্যাচ হয় তার উপর নির্ভর করে রেজাল্ট শো করে।

যখন আমরা কোনো কিওয়ার্ড কে টার্গেট করে আর্টিকেল লিখব তখন সেই রিলেটেড যেকোনো কুয়েরি লিখে সার্চ করলে আমাদের সেই আর্টিকেলটি সার্চ রেজাল্ট আসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

আর যদি কোন কিওয়ার্ড কে টার্গেট করে আর্টিকেল লেখা না হয়, তাহলে সে আর্টিকেলটি রেজােল্টে আসতে প্রচুর সময় লাগে বা কোন কীওয়ার্ড এর সাথে ম্যাচ না হওয়ার কারণে কখনোই সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শিত হয় না।

[sc name=”inarticle” ]

#১২। ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল লিংক কি? কিভাবে ব্যবহার করবেন

একটি ওয়েবসাইটের ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল লিংক হলো- যখন একটি আর্টিকেল এর মধ্যে অন্য একটি ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করে দেয়া হয় তখন সেটাকে এক্সটার্নাল লিনক বলে।

এক্সটারনাল লিংক:  এক্সটার্নাল লিংক এর উপর কোন ভিজিটর ক্লিক করলে ওয়েবসাইট থেকে পুরোপুরি বাহির হয়ে অন্য ওয়েবসাইটে চলে যাবে। এক্সটার্নাল লিংকটি দুইভাবে করা হয় একটি হচ্ছে ডো ফলো এবং অন্য একটি  নো ফলো। এই লিংকগুলি শুধুমাত্র অন্য একটি সাইট রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

ইন্টারনাল লিংক: ইন্টার্নাল একটি আর্টিকেল এর মধ্যে এমন লিংক তৈরী করা যেটি একটি ওয়েবসাইটের অন্য আরেকটি আর্টিকেল এর লিংক। অর্থাৎ লিঙ্গের উপর যদি কোন ভিজিটর ক্লিক করে তাহলে সেই ওয়েবসাইটের অন্য আরেকটি আর্টিকেলে চলে যাবে কিন্তু সে একেবারে ওয়েবসাইটের বাইরে যাবে না।

এই লিংকটি করা হয় যদি আপনার ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স থাকে তাহলে একটি আর্টিকেল থেকে অন্য একটি আর্টিকেল এ রেফার করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

#১৩। মিডিয়া কি? কেন মিডিয়া ব্যবহার করবেন

মিডিয়া হলো একটি ওয়েব সাইটের কনটেন্ট এর মধ্যে ব্যবহৃত ছবি, ভিডিও, ডক ফাইল, পিডিএফ ফাইল।  এগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়। যেমন: ফিচার ইমেজ, স্কীনসট, ইনফোগ্রাফি, ভিডিও, ইনফোগ্রাফি ইত্যাদি।

#১৪। নেভিগেশন মেনু কি? কেমন নেভিগেশন ব্যবহার করা উচিৎ

ওয়েবসাইটের নেভিগেশন মেনু হলো পুরো ওয়েবসাইটের একটি সাইট ম্যাপ। অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইটের উপরের দিকে কিছু মেনুবার থাকবে যেখান থেকে ওয়েবসাইট এর মধ্যে কোথায় কি রয়েছে সেগুলো জানতে পারবে। নেভিগেশন মেনুগুলো ক্যাটাগরি অনুযায়ী বা পেজ অনুযায়ী হতে পারে।

এমনকি একটি ওয়েবসাইটের নির্ধারিত কিছু পেইজ নেভিগেশন এর মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেয়া যায় যাতে ভিজিটররা খুব সহজেই সেটিকে খুঁজে পায়।

#১৫। ক্যাটাগরি এবং ট্যাগ

একটি ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরি বা ব্যবহার করা যেতে পারে। ক্যাটাগরি ব্যবহার করার ফলে যে কোন ভিজিটর তাঁর পছন্দনীয় ক্যাটাগরিতে খুব সহজেই তার তথ্য খুঁজে পাবে। আপনার ওয়েবসাইটে যে কয়েকটি বিষয় থাকবে প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা ক্যাটগরির মাধ্যমে প্রকাশ করা যেতে পারে। যেমন: শিক্ষা, স্বাস্থ্যা, প্রযুক্তি, বিনোদন, খেলাধুলা, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি।

[sc name=”180×150″ ]

#১৬। গুগল সার্চ কনসোল

গুগল সার্চ কনসোল হলো যেখানে আপনার ওয়েবসাইট টিকে ভেরিফাই করতে হবে। অর্থাৎ গুগল সার্চ কনসোল এর  আপনি গুগলকে বলে দেবেন যেন আপনার ওয়েবসাইটের লেখাগুলো এবং তথ্যগুলো ইনবক্স করে। গুগোল যখন আপনার ওয়েবসাইটকে ইন্ডেক্স করবে তখন আপনার ওয়েবসাইটের  তথ্যগুলো সার্চ রেজাল্ট এ প্রদর্শিত হবে।

গুগল সার্চ কনসোলে আপনি নির্ধারণ করে দিতে পারবেন কোন কোন আর্টিকেল এবং কোন পেজগুলো গুগল ইন্ডেক্স করবে। এবং গুগল সার্চ কনসোল থেকে আপনি দেখতে পারবেন কিকি কিওয়ার্ড বা কোন কোন বিষয়টি গুগল সার্চ রেজাল্ট থেকে ভিজিটররা খুঁজে পাচ্ছে।

আপনি যদি গুগল সার্চ কনসোলে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভেরিফাই না করেন তাহলে গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে চিনতে পারবে না। এবং গুগল সার্চ ইঞ্জিনে কেউ আপনার ওয়েবসাইটকে খুঁজে পাবেনা।

#১৭। সার্চ ইঞ্জিন ইনডেক্স

আপনার ওয়েবসাইটটি তৈরি করার পর বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ভেরিফাই করতে হবে। এবং বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার ওয়েবসাইট এর ডাটা/সাইটম্যাপ দিয়ে আসতে হবে। যখন বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েব সাইটের সাইটম্যাপ বাড়াটা খুঁজে পাবে তখন তারা আপনার ওয়েবসাইটকে ইন্ডেক্স করবে এবং তাদের রেজাল্টে প্রদর্শিত করবে।

এবং যখন আপনার ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে ইন্টেক্স থাকবে এবং রেজাল্ট দেখাবে তখন বিভিন্ন ভিজিটর কিন্তু অটোমেটিক আপনার ওয়েবসাইটকে খুঁজে পাবে।

#১ ৮। Robot TXT কি? কেন ব্যবহার করবেন

Robot TXT একটি টেক্সট ফাইল। এ ফাইল এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনকে বলে দিতে পারবেন তারা কি কি বিষয় ইন্ডেক্স করবে এবং তাদের সার্চ রেজাল্টে দেখাবে। আপনি চাইলে এই ফাইলের মাধ্যমে বেশকিছু পেজ বা ক্যাটাগরি সার্চ ইঞ্জিন থেকে হাইড করে রাখতে পারবেন। তাহলে আপনার হাইড করা বিষয়গুলো সার্চ ইঞ্জিন কখনোই ইন্ডেক্স করবে না।

অর্থাৎ এই ফাইলের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনকে অনুমতি দেয়া যে আমার ওয়েবসাইটের কি কি বিষয়ে আপনি ভিজিটর দের জন্য ইনডেক্স করতে পারবেন পারবেন এবং কি কি বিষয় ইনডেক্স করতে পারবে না। আপনি চাইলে নির্ধারিত কোন পোস্ট বা পেজ এ ইন্টেক্স এর পারমিশন অফ করে দিতে পারবেন।

#১৯। সাইটম্যাপ কি? কেন কোথায় ব্যবহার করবেন

সাইটম্যাপ হলো আপনার ওয়েবসাইট এর একটি এইচটিএমএল ফাইল যেখানে আপনার ওয়েবসাইট এর সকল লিংকগুলো লিস্ট করা থাকবে। এবং এই সাইটটি প্রতিনিয়ত আপডেট হতে থাকবে।

এখন কথা হল সাইটম্যাপ কেন ব্যবহার করবেন? একারণেই ব্যবহার করতে হয় যেন যেকোনো সার্চ ইঞ্জিন সাইট ম্যাপ ফলো করে আপনার ওয়েবসাইট এর নতুন এবং আপডেট লেখাগুলি দ্রুত ইন্ডেক্স করতে পারে। যখন একটি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েব সাইটের সাইটম্যাপ সাবমিট করবেন তখন আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিন খুব দ্রুত ক্রউল পারে।

#২০। গুগল এনালাইটিক্স

এনালাইটিক্স হলো গুগলের একটি প্রোডাক্ট। গুগল এনালাইটিক্স মূলত ওয়েবসাইটের ভিজিটর পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এখানে আপনার ওয়েবসাইটটি ভেরিফাই করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের গতিবিধি দেখতে পারবেন। এখানে যে সমস্ত সুবিধাগুলো পাবেন সেগুলি হল:

  • আপনার ওয়েবসাইট এ কতগুলো ভিজিটর এসেছে।
  • কোথায় থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ইউজার এসেছে।
  • আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর কি কি ডিভাইস ব্যবহার করে প্রবেশ করেছে।
  • এবং কোন ইউজার কতক্ষণ আপনার ওয়েবসাইটে থেকেছে।
  • কোন কোন আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছে।
  • এমনকি গুগল এডসেন্স এর সাথে এনালাইটিক্স যুক্ত করা থাকলে আপনার ওয়েবসাইট থেকে কত টাকা ইনকাম হলো আপনি এখান থেকে দেখতে পারবেন।
  • আপনার ওয়েবসাইটের দৈনিক সাপ্তাহিক মাসিক এবং বাৎসরিক আসছে সকল হিসাব থাকবে গুগল এনালাইটিক্স এ।
  • গুগল এনালাইটিক্স মূলত ওয়েবসাইটের ভিজিটর পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়

#২১। পেজ স্পীড অপটিমাইজেশন

পেজ স্পীড অপটিমাইজেশন হল আপনার ওয়েব সাইট এর গতি বৃদ্ধি করা। যখন একজন ইউজার কোন সার্চ ইঞ্জিনে কোন কিছু খুঁজবে। তখন আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড যত বেশি থাকবে তত দ্রুত আপনার ওয়েবসাইট এর রেজাল্ট প্রদর্শিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর যদি আপনার ওয়েবসাইটটি একটু ধীর গতির হয়, তাহলে সার্চ ইঞ্জিন এর রেজাল্ট আসার সম্ভাবনা কমে যায়।

আপনার ওয়েব সাইট এর স্পিড যাতে ফাস্ট হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। অন্যথায় আপনি অনেক ভিজিটর হারাতে পারেন।

কি কি কারণে পেজ স্পিড কমে যায়:

  • ওয়েবসাইটের স্পিড কম হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে হোস্টিং সার্ভার। আপনার যদি হোস্টিং সার্ভার ভালো থাকে এবং দ্রুত পারফর্ম করে তাহলে আপনার ওয়েব সাইট এর স্পিড অনেকটাই বেড়ে যাবে।
  • অপ্রয়োজনীয় প্লাগিন/ফাংশন ব্যবহার করা।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে কোড/স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা।
  • বড় বড় ইমেজ ব্যবহার করার কারণেও পেজ স্পিড কমে যায়।

Read More: ওয়েবসাইট স্পিড কিভাবে বাড়াবেন, 3টি উপায়ে আপনার ওয়েবসাটি স্পিড বাড়িয়ে নিন

[sc name=”responsve” ]

#২২। ইমেজ অপটিমাইজেশন

আপনার ওয়েবসাইট এর আর্টিকেল এর মধ্যে ইমেজ অফ থে মেসেজ করাটা অত্যন্ত জরুরী। যখন আপনার একটি আর্টিকেল প্রকাশ করবেন তখন সে আর্টিকেল এর ব্যবহার করা প্রত্যেকটি ইমেজ অপটিমাইজ করে দিতে হবে। তাহলে আপনার সে আর্টিকেলটি খুব দ্রুত সার্চ রেজাল্টে আসার সম্ভাবনা থাকে।

অর্থাৎ একটি ইমেজ 3mb রয়েছে এবং সেই ইমেজ অনায়াসে 50kb ব্যাবহার করা যায়, সেক্ষেত্রে আপনাকে বড় ইমেজ ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।  সেদিকে রেজুলেশন ঠিক রেখে অপটিমাইজ করে তারপর আপলোড করা উচিত।

ইমেজ অফ ফেমাস করার জন্য আপনি কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও চাইলে অনলাইনে বিভিন্ন টুলস রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে ছবিগুলোকে অপটিমাইজ করে নিতে পারবেন। যেমনঃ tinypng, tinygpg ইত্যাদি।

#২৩। ওয়েব সাইট এসইও

ওয়েবসাইট এসইও তথা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এটি একটি ওয়েবসাইট এর জন্য আবশ্যকীয় বিষয়। এসইও এমন একটি টেকনিক যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটি  বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে খুব দ্রুত খুজে পাওয়া যাবে। অর্থাৎ এসইও করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিন গুরুত্ব দিবে এবং ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটকে খুব দ্রুত সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে পাবে এমন একটি পদ্ধতিই হলো এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)।

আপনি যদি একটি ব্লগ বা ওয়েব সাইট চালান, অথবা ব্লগিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান তাহলে এসইও এর ওপর অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। অন্যথায় বর্তমানে প্রতিযোগিতার সময় আপনার ব্লগ টি টিকে থাকতে পারবে না।

Read More: বাংলায় পূর্ণাঙ্গ এসইও টিউটরিয়াল এখানে।

#২৪। অনপেজ অপটিমাইজেশন

অন-পেজ অপটিমাইজেশন SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) এর একটি অংশ। অন পেজ অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে আমরা ওয়েবসাইট এর ভিতরে থাকা প্রত্যেকটি বিষয় অপটিমাইজ করে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারি। এবং আমরা অন পেজ এসইও যত সুন্দর ভাবে পড়তে পারব সার্চ ইঞ্জিন আমাদের ওয়েবসাইটকে ততটাই পছন্দ করবে।

আর যখন সার্চ ইঞ্জিন আমার ওয়েবসাইট কে পছন্দ করবে তখন সার্চ রেজাল্টে আমার ওয়েবসাইটটি প্রথম দিকে আসার সম্ভাবনা থাকে।

অর্থাৎ ওয়েবসাইট এর মধ্যে এমন কিছু টেকনিক ব্যবহার করা যার মাধ্যমে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইটকে দ্রুত খুজে পাবে সেই টেকনিকই হলো অনপেজ এসইও বা অনপেজ অপটিমাইজেশন।

Read More: বাংলায় পূর্ণাঙ্গ এসইও টিউটরিয়াল এখানে।

#২৫। অফপেজ অপটিমাইজেশন

অফপেজ অপটিমাইজেশন হলো এসইও এর একটি অংশ। এস ই ও এর মধ্যে অফপেজ অপটিমাইজেশন হলো ওয়েবসাইট এর বাহিরে যে সকল কাজ করা হয়| অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইট জনপ্রিয় করে তোলার জন্য বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় ওয়েবসাইটের মার্কেটিং করাকেই অফ পেজ অপটিমাইজেশন বলে| তবে এই মার্কেটিং এর ফর্মুলা একটু ভিন্ন টাইপের।

নরমালি আমরা যেভাবে একটি ওয়েবসাইট এর মার্কেটিং করে সার্চ এবং ইনকাম বাড়ায় কিন্তু এটি এবং ইনকাম বাড়ানোর জন্য নয়। এই মার্কেটিং হচ্ছে, বিভিন্নভাবে ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে জনপ্রিয় করে তোলার একটি পদ্ধতি।

অফপেজ অপটিমাইজেশন সম্পর্কে আরও জানতে এখানে দেখুন।

#২৬। সোশ্যাল মিডিয়া সিগনাল

ব্লগিং করতে হলে সোশ্যাল মিডিয়া সিগন্যাল সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া সিগন্যাল যেমন একটি ওয়েবসাইটের এসইও জন্য প্রয়োজন তেমনি একটি ওয়েবসাইটের মার্কেটিং করার জন্য সোশ্যাল সিগন্যাল অন্যতম পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে থাকে।

সোশ্যাল মিডিয়া সিগ্নাল এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের কাছে জনপ্রিয় করে তোলা যায় এছাড়াও আপনার বিজনেস সম্পর্কে খুব দ্রুত মার্কেটিং করা যায়।

সোশ্যাল মিডিয়ার সিগনাল হল: আপনার ওয়েব সাইটের কনটেন্ট সার্ভিসসমূহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটে সুন্দর করে উপস্থাপন করা। আপনার ওয়েব সাইট এর সার্ভিস বা কনটেন্ট যত সুন্দর ভাবে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারবেন আপনার সোশ্যাল সিগন্যাল পাওয়ার সম্ভবনা তত বেশি।

এখানে সিগনাল বলতে বুঝানো হয়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ওয়েব সাইটের কনটেন্ট বা সার্ভিস শেয়ার করার পর কি পরিমাণে কনভার্ট হচ্ছে। অর্থাৎ কি পরিমানে লোক আপনার সার্ভিস এবং কনটেন্টগুলো কে পর্যবেক্ষণ করছে বা দেখছে।

একটি ওয়েবসাইটের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া সিগন্যাল সংগ্রহ করা যায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়া সিগন্যাল ডিজিটাল মার্কেটিং/সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর একটি অংশ বিশেষ।

[sc name=”inarticle” ]

আরো জানুন: 

#২৭। ব্যাকলিংক

সহজ ভাষায় ব্যাকলিংক হলো আপনার ওয়েবসাইটের লিংক বা ইউআরএল অন্য একটি ওয়েব সাইটে সাবমিট করার নাম। অর্থাৎ আপনার রিলেটেড ওয়েবসাইটে যেকোনো কনটেন্ট এর মাধ্যে কোন একটি শব্দকে এঙ্কর টেক্স এর মাধ্যমে লিংকিং করাকে ব্যাকলিংক বলে।

ব্যাকলিংক কেন করা হয়: ব্যাকলিংক করার উদ্দেশ্য হলো আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভিজিটর কে জানানো। একজন ইউজার যখন একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে এবং সেখানে আর্টিকেল এর মধ্যে যখন আপনার ওয়েবসাইটের লিংক টি দেখতে পাবে সেখানে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটে চলে আসবে। এর দ্বারা আপনার ওয়েবসাইটে যেমন একটি ভিজিটর পেলেন তেমনি এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে পারবেন।

কিভাবে ব্যাকলিংক করতে হয়: ব্যাকলিংক করার জনপ্রিয় মাধ্যম গুলো হলোঃ

ক) গেস্ট পোস্ট করে ব্যাক লিঙ্ক করা,

খ) কমেন্ট এর মাধ্যমে,

গ) বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যাকলিংক করা,

ঘ) বিভিন্ন আর্টিকেল সাবমিশন ওয়েব সাইটে আর্টিকেল সাবমিট করার মাধ্যমে করা যায়

ঙ) বিভিন্ন ইমেজ বা মিডিয়া শেয়ারিং ওয়েবসাইট কোন ফাইল শেয়ারিং এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক করতে পারবেন।

== গেস্টপোষ্ট সম্পর্কে আরো বিস্তারিত এখানে

#২৮। ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করবেন

ব্লগিং করে ইনকাম করার অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে জনপ্রিয় কিছু মাধ্যম এখানে আলোচনা করছি যেগুলো তুলনামূলকভাবে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের চেয়ে সহজ। আপনি চাইলেই নিচে দেওয়া যেকোনো একটি মেথড অবলম্বন করে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন।

একটি ব্লগ থেকে ইনকাম করার জনপ্রিয় মাধ্যম গুলোর মধ্যেই প্রথম সারিতে যেগুলো রয়েছে সেগুলো হলোঃ

গুগল এডসেন্স: গুগল এডসেন্স হলো গুগলের একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি সেই ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন বসিয়ে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতে পারবেন খুব সহজেই। গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে কিভাবে একটি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করবেন তার ধারাবাহিক বর্ণনা আমাদের এই টিউটোরিয়ালে রয়েছে। গুগল এডসেন্স এর পূর্নাঙ্গ টিউটোরিয়াল বাংলায়

এফিলিয়েট মার্কেটিং: আরো একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হল এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি যদি আপনার ব্লগের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাহায্যে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটটি কোন ডিজিটাল বা এনালগ প্রডাক্ট রিলেটেড হতে হবে। যেখানে অনায়াসে যেকোনো একটি কোম্পানির পণ্য আপনি বিক্রি করে কমিশন অর্জন করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আরো রয়েছে এখানে: এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন।

[sc name=”responsve” ][/sc]

লোকাল এড: এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন কোম্পানির লোকাল বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। যখন আপনার একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট থাকবে তখন আশেপাশের বিভিন্ন কোম্পানী বা সার্ভিস আপনাকে রিকুয়েস্ট করবে তাদের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার জন্য। আপনি তাদের সাথে সাপ্তাহিক মাসিক বা বাৎসরিক চুক্তির মাধ্যমে তাদের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

স্পন্সর করে: আপনার ওয়েব সাইটের বিভিন্ন প্রোডাক্ট আর্টিকেল গুলোকে বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সর হিসেবে পাবলিশ করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি যদি কোন মোবাইল রিভিউ এর ওয়েবসাইট তৈরী করে থাকেন তাহলে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানি আপনাকে অফার করবে তাদের প্রোডাক্ট এর রিভিউ করার জন্য। এবং রিভিউ এর বিনিময়ে আপনাকে তারা টাকা পেমেন্ট করবে।

#২৯। ব্লগিং করতে কত টাকা খরচ হয়

এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন, ব্লগিং করতে কত টাকা খরচ হয়? বন্ধুরা আমার মতে ব্লগিং করতে আপনার কোন টাকা-পয়সা খরচ হবে না। তবে হ্যা আপনি যদি একটু প্রফেশনালভাবে ব্লগিং করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে সামান্য কিছু টাকা খরচ করতে হবে ডোমেইন ও হোস্টিং কেনার জন্য। আপনি চাইলে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। কিভাবে ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন এখানে রয়েছে

আর যদি আপনি নিজে কাজ না করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার বেশ কিছু খরচ রয়েছে যেমন:

  • একজন ওয়েব ডেভেলপার বা ওয়েব ডিজাইনার কে বিয়ে করতে হবে।
  • কনটেন্ট রাইটারকে বিয়ে করতে হবে।
  • একজন এসইও এক্সপার্ট কে পে করতে হবে।
  • এবং সাইট মেনটেনেন্স এর জন্য সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান এর জন্য একজন লোক রাখতে হবে। তাকে পেমেন্ট করতে হবে।

আপনি চাইলে সকল কাজ আপনি নিজেও করতে পারবেন একটু পড়াশোনা করে বা একটু শিখে। এখানে একটা বিষয় লক্ষ রাখতে হবে আপনি যদি এই সমস্ত কাজ অন্য কোন ব্যক্তিকে দিয়ে করিয়ে নেন তাহলে সে ক্ষেত্রে কখনোই আপনি কোয়ালিটি কাজ পাবেন না। তবে হ্যা আপনি যদি এই সমস্ত বিষয়ে ভালো পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই কাজগুলো বিভিন্ন লোক দ্বারা করিয়ে নিতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনার যাচাই করার যোগ্যতা থাকতে হবে।

#৩০। ব্লগিং শিখতে কতদিন সময় লাগে

এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার দক্ষতার উপর। আপনি প্রতিদিন কত ঘন্টা সময় ব্যয় করতে পারবেন এই কাজ শিখার পেছনে। আপনি প্রতিদিন যত বেশি সময় ব্যয় করতে পারবেন আপনি তত তাড়াতাড়ি ব্লগিং সম্পূর্ণভাবে শিখতে পারবেন। একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্লগিং শিখতে মোটামুটি তিন থেকে ছয় মাস সময় লেগে যায়।

এখানে কিন্তু শেষ নয় আপনাকে প্রতিনিয়ত শিখতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে অর্থাৎ তিন থেকে ছয় মাস করার পর আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেটাকে মেইনটেইন করতে পারবেন এবং সেখান থেকে কিছু কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

#৩১। ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় এটি নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার ব্লগ এর কোয়ালিটি ক্যাটাগরি এবং জনপ্রিয়তার উপর। আপনার ওয়েবসাইটটি যদি ভাল জনপ্রিয় হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইট থেকে প্রতি মাসে 1 লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়।

এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যারা প্রতিমাসে কয়েক কোটি টাকা ইনকাম করে থাকেন। একটি ওয়েবসাইট থেকে প্রতিমাসে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে কত টাকা ইনকাম করা যায় তার একটি চার্ট নিচে দেয়া হল।

একটি ওয়েবসাইট এ মানে ভিজিটর সংখ্যা যদি 2 লক্ষ হয় তাহলে সেই ওয়েবসাইট থেকে মাসিক ইনকাম হবে নিম্নরোপঃ

=> 2 লক্ষ ভিজিটর হলে এভারেজ পেজভিউ যদি 3% হয় তাহলে পেজভিউ হবে = 6 লক্ষ।

=> যদি Adsense  CTR 3.5% হয় তাহলে এড ক্লিক হবে = 21000।

=> যদি এভারেজ CPC $0.20 হয় তাহলে আয় হবে (21000x $0.20) = $4200 (কিছু কম বেশি হতে পারে)

=> $4200 বাংলা টাকায় কনভার্ট করলে হয় (4200*84) = BDT 3,52,800/-

এমন একটি ওয়েবসাইটের মান্থলি ইনকাম দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।

এখানে একটি মজার বিষয় হলো: এ সকল ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম একবার শুরু হলে সেটি আপনি কাজ করুন বা না করুন আপনার ইনকাম হতে থাকবে। আপনি যত বেশি কাজ করবেন আপনার তত ইনকাম বাড়তে থাকবে আর যদি আপনি কাজ না করেন সেক্ষেত্রে আপনার ইনকাম হয়তো কিছুটা কমবে কিন্তু একেবারে বন্ধ হবে না। এবং এটাকে প্যাসিব ইনকাম ও বলা হয় অর্থাৎ ইনকাম শুরু হয় শেষ হয় না। যতদিন সাইট আছে ততদিন ইনকাম হতেই থাকবে।

সর্বোপরি আমাদের পরামর্শঃ

আপনার যদি অনলাইনে ইনকাম করার ইচ্ছা বা আগ্রহ থাকে তাহলে দেরি না করে আপনি আজ ঐ যে কোন একটি বিষয় পছন্দ করে সে বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করা শুরু করে দিন। আপনি যখন কোন একটি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করবেন সে বিষয়টি আপনার কাছে একেবারে সহজ হয়ে যাবে। এবং একটি বিষয়ে কিছুদিন পড়াশোনা করলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার দ্বারা এই কাজটি হবে কিনা।

তো বন্ধুরা যদি আজকে আমার এই লেখাটি আপনার কাছে ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আর যদি এ ব্যাপারে আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে এখনই নিজে একটি কমেন্ট করে ফেলুন যত দ্রুত সম্ভব আপনার কমেন্টের রিপ্লাই দেয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।

1 thought on “ব্লগিং কি? ব্লগিং করতে এই 31 টি বিষয় আপনাকে জানতেই হবে”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top