আজকাল সবাই স্মার্টফোনকে আকর্ষণীয় করতে এবং বিনোদনের জন্য বিভিন্ন থার্ড পার্টি স্টোর কিংবা প্লেস্টোর থেকে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন নামিয়ে ইন্সটল করে থাকে। কিন্তু না জেনে-বুঝে হরহামেশা এরকম অ্যাপ ডাউনলোড করা আমাদের ফোনের প্রাইভেসি ও সিকিউরিটির জন্য অনিরাপদ। এতে আপনার ফোনের প্রাইভেসি কম্পোমাইজ হতে পারে কিংবা ম্যালওয়্যার সংক্রমিত হতে পারে। চলতি বছরের মার্চে প্রকাশিত কম্পারেটিকার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশর ৩০.৯৪% মোবাইল ফোন ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত। অতএব আমাদের স্মার্টফোন নিরাপত্তার ব্যাপারে আরো সচেতন হতে হবে। ম্যালওয়্যার আক্রমণ হতে সুরক্ষিত থাকতে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
*সর্বদা স্মার্টফোনের অফিশিয়াল স্টোর(যেমন গুগলের জন্য প্লেস্টোর এবং আইফোনের জন্য অ্যাপ স্টোর) হতে প্রতিটি অ্যাপ ইন্সটল করুন। অপরিচিত ও সন্দেহজনক উৎস(যেমন থার্ড পার্টি স্টোর, ক্লাউড স্টোরেজ কিংবা অ্যাটাচমেন্ট ফাইল) হতে কোনো অ্যাপ ডাউনলোড না করাই ভালো।
*কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার সময় সেখানে লক্ষ করুন প্রকৃত ডেভেলপার বা কোম্পানি অ্যাপটি পাবলিশ করেছে কিনা। এটা যাচাইয়ের জন্য ডাউনলোড লিঙ্কের ডোমেইন নেইম কিংবা স্টোরের পাবলিশার প্রোফাইল চেক করুন।
*কোনো অ্যাপ ইন্সটল করার পূর্বে যাচাই করুন অ্যাপটি ফোনের কী কী পারমিশন চাচ্ছে এবং কেন চাচ্ছে। যদি লক্ষ করেন কোনো অ্যাপ আপনার ফোন হতে অযাচিত পারমিশন চাচ্ছে(যেমন একটা ক্যালকুলেটর অ্যাপ কখনো ফোনের গ্যালারি কিংবা কন্ট্যাক্ট লিস্ট এক্সেসের পারমিশন চাইবে না) তাহলে অ্যাপটি ইন্সটল করা হতে বিরত থাকুন।
*কোনো অ্যাপ ডাউনলোডের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে প্লেস্টোরে অ্যাপটির রেটিংস এবং রিভিউ যাচাই করুন। তুলনামূলক বাজে হলে আমি পরামর্শ দিব অ্যাপটি ইন্সটল না করার জন্য।
*প্লেস্টোরে পাওয়া চটকদার, লোভনীয় ও আকর্ষনীয় অ্যাপ ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন। বিশেষ করে ব্যাটারি সেভার, অ্যাডাল্ট কনটেন্টযুক্ত অ্যাপগুলো প্রায়সময় ট্রোজান ও এডওয়্যারের মতো ম্যালিসিয়াস কোড বহন করে।
*আপনার স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম এবং ফোনের সকল অ্যাপ নিয়মিত আপডেট করুন। বেস্ট প্র্যাকটিস হলো, অটো আপডেট ফিচার এনাবল রাখা।
*অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইন্সটল করে দিন।
*বিভিন্ন সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান স্মার্টফোনের জন্য এন্টিভাইরাস অ্যাপ উন্নয়ন করে থাকে যা সাধারণত বিনামূল্যে পাওয়া যায়। চাইলে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
রাফিন রহমান চৌধুরী
সাইবার নিরাপত্তা গবেষক
